স্বৈরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশে কাজ করার স্বপ্নে মাত্র দেশে ফেরত এসেছি- ঠিকই করেছি! আমি রুবাইয়া মোরশেদ, সম্প্রতি ইউনিভারসিটি অফ কেমব্রিজ (University of Cambridge) থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করলাম। এই ১৮ জুলাই যখন আমার ছোটভাইবোনরা দেশে মাঠে লড়াই করছে, সেইদিন আমার গ্রাজুয়েশন- আমি ডিগ্রিটা হাতে পাই। পিএইচডি করে সবসময় দেশে ফেরত আসতে চাইতাম কারণ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আমার। কিন্তু দ্বিধায় ভুগতাম প্রায়ই। ভুল করছি নাতো? আমি স্বপ্নবাজ, আমার কাছের মানুষরা জানে আমি দেশকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতে ভালো পরিবর্তন আনতে কাজ করতে পারবো, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আমার ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়াতে পারব (জানি না কেন, কিন্তু ইউনিভারসিটি অফ কেমব্রিজে বিদেশি বাচ্চাদেরকে পড়ানোর থেকে দেশে পড়াতে বেশি ভালো লেগেছে!)- এই ভেবে দেশে ফেরত আসার সিদ্ধান্ত নি। অনেকে বলল ভুল করছি, মনের কোণে নিজেরও হয়তো একটু মনে হতো। তবে এখন আর সেটা মনে হচ্ছে না। নতুন এই নেতৃত্ব দেওয়া, সবাইকে জাগিয়ে দেওয়া, প্রজন্ম আমাকে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নটা আরো প্রবলভাবে অনুভব করার সুযোগ করে দিল। স্বার্থক করে দিল আমাদের দেশে ফেরা। এই নতুন বাংলাদেশে কে না দেশে ফিরতে চাইবে?
আমার অভিজ্ঞতা: আমি একজন এডুকেশন ইকোনোমিস্ট। আমার প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্থনীতিতে এবং শিক্ষা খাতে। দুইটি প্রশিক্ষণের সংমিশ্রণে আমি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী- আমি গত এক বছর ধরে ডেইলি স্টারে লিখেছি যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কী ধরণের কাজ করা যায়- সেখানে আমার কাজের পরিকল্পনার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে (লিঙ্ক: https://www.thedailystar.net/author/rubaiya-murshed)।
বলে রাখা ভালো (পাছে কেও বলে যে সুযোগ পাই নি বলে দেশে ফিরেছি), আমি ইউনিভারসিটি অফ কেমব্রিজ থেকে পোস্টডক চাকরির অফার পেয়েছিলাম। পেয়ে না করে দি। কারণ একইদিনে আমি দেশে ফিরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ৩ তা বড় খাতে কাজ করার একটা চমৎকার সুযোগ পেয়ে যাই- ইউনিসেফ এর গ্লোবাল অফিসের কনসালটেন্ট হিসেবে। দেশে কাজ করার লোভ সামলাতে না পেরে চলে আসলাম- এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ও জানতাম না যে নতুন বাংলাদেশে কাজ করতে পারবো। নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকেই নিতে হবে যে যার জায়গা থেকে।
কাজ করতে আগ্রহী
শিক্ষা, নীতিমালা
দক্ষতার ক্ষেত্র
সামাজিক বিজ্ঞান