আমি, ড. ইমরুল শাহরিয়ার, যুক্তরাষ্ট্রের পার্ডু ইউনিভার্সিটির একজন পোস্টডক্টরাল গবেষক এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল স্টার্টআপ কোম্পানির রিসার্চ কন্সাল্ট্যান্ট। আমি সম্প্রতি পিএইচডি শেষ করেছি পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে যেখানে আমি কাজ করেছি ইনফ্লুয়েনজা সংক্রমণ চিকিৎসার জন্য নতুন একটি এন্টিভাইরাল ইমিউনোথেরাপি উদ্ভাবনে যা এবছরের শেষ নাগাদ ফেইজ ওয়ান হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এ যাচ্ছে| পিএইচডি চলাকালীন আমার তিনটি ইউএস প্যাটেন্ট ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আরো তিনটি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে, এবং প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি প্যাটেন্ট| আমি এমন একটি ল্যাবে পিএইচডি করেছি যেখানে যেকোন রোগের চিকিৎসার জন্য নতুন একটি আইডিয়া কিভাবে ল্যাব থেকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া যায় তার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে... প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় যে টার্গেটেড রেডিওথেরাপি সম্প্রতি বাজারে এসেছে যা প্লুভিক্টো নামে পরিচিত সেটি উদ্ভাবিত হয় আমাদের ল্যাবে যা বিশ্বখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী নোভার্টিস প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়|
আমার স্বপ্ন: বাংলাদেশে একটি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ড্রাগ ডিসকভারি প্রতিষ্ঠা করা যেখানে নিত্যনতুন ড্রাগের প্রিক্লিনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ হবে, দেশী এবং বিদেশী ফার্মা কোম্পানীগুলো বিনিয়োগ করতে পারবে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি লাইসেন্স করে নিতে পারবে, অসংখ্য বিজ্ঞানীর কর্মসংস্থান হবে, প্রশিক্ষণের সুযোগ হবে| শুধু যে নতুন ড্রাগ নিয়েই কাজ হবে তা না, এর আয়ের উৎস হিসেবে একটি কন্ট্রাক্ট রিসার্চ উইং থাকবে যারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল স্টার্টআপ কোম্পানীগুলোকে পেইড সার্ভিস দিবে| এটি হতে পারে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কিংবা সম্পূর্ণ আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান| এই স্বপ্নের শুরুতেই যে বিনিয়োগ দরকার আমার বিশ্বাস আমাদের দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো একসাথে মিলে খুব সহজেই সেটি করতে পারবে, এবং যথাযথ আস্থা অর্জন করতে পারলে এক সময় বিদেশী বিনিয়োগ আসবে| মোদ্দাকথা, আমাদের একটি ড্রাগ ডিসকভারি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে সকলের সহযোগিতায়, সেটির জন্য এই মুহূর্তে দরকার স্বৈরাচারমুক্ত একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ|
কাজ করতে আগ্রহী
শিক্ষা, গবেষণা
দক্ষতার ক্ষেত্র
বিজ্ঞান